মার্শাল পরিকল্পনা
মার্শাল পরিকল্পনা (প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় পুণর্গঠন প্রকল্প নামে পরিচিত, ইআরপি) ইউরোপের বিভিন্ন দেশকে সহায়তা প্রদান করার একটি মার্কিন পরিকল্পনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ইউরোপীয় দেশগুলোর বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং এসব দেশে সোভিয়েত কমিউনিজমের বিস্তার রোধ করার লক্ষ্যে এ পরিকল্পনা অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র এসব দেশকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।[১] এ পরিকল্পনা ১৯৪৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রণয়ন করা শুরু হয় এবং চার বছর যাবৎ পরিচালিত হয়।[২] যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলসমূহ পুনর্গঠন, বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করা, শিল্পে আধুনিকায়ন এবং পুনরায় একটি সমৃদ্ধ ইউরোপ সৃষ্টি করা।[৩] অর্থনীতিতে "মার্শাল পরিকল্পনার সমতূল্য" বলতে সাধারণত বড় ধরনের আপদকালীন আর্থিক সহায়তা বোঝানো হয়।[৪]
এ পরিকল্পনাটি[৫] যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র সচিব জর্জ মার্শালের নামানুসারে রাখা হয়। ১৯৪৭ সালের জুন মাসে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদত্ত এক ভাষণে ইউরোপ পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন।[৩][৬] রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুই পক্ষ থেকে এ পরিকল্পনাটি সমর্থন লাভ করে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ এ পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করেন। এদের মধ্যে উইলিয়াম ক্লেটন ও জর্জ কেনান অন্যতম। সিনেটরদের মধ্যে আর্থার এইচ ভ্যান্ডারবার্গ এ প্রকল্প প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
এ পুনর্গঠন পরিকল্পনাটি সর্বপ্রথম ৫ জুন ১৯৪৭ সালে ইউরোপীয় দেশসমূহের একটি সভায় উত্থাপিত হয়। এ পরিকল্পনায় সোভিয়েত ইউনিয়ন আর তার সহযোগী দেশগুলোকে কিছু সহায়তা করার প্রস্তাব রাখা হলেও তারা সে প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।[৭][৮] এ প্রস্তাবে অনুমোদন দিলে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে মার্কিন হস্তক্ষেপের একটা আশঙ্কা ছিল।[৯] পরিকল্পনাটির চার বছর মেয়াদকালে সর্বমোট ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ইউরোপীয় দেশগুলোতে অর্থনৈতিক ও কারিগরী সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়।[১০] ১৯৫১ সালের শেষে সমন্বিত নিরাপত্তা পরিকল্পনার মাধ্যমে মার্শাল পরিকল্পনা প্রতিস্থাপিত হয়।[১১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বিশেষত কমিউনিজমের বৈশ্বিক বিস্তৃতি প্রতিরোধ করার জন্যই এসব পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছিল।" - Alexander DeConde et al, eds. Encyclopedia of American foreign policy (2002) Volume 1 p. 95
- ↑ Lapsansky-Werner, Emma J. United States History: Modern America. Boston, MA: Pearson Learning Solutions, 2011. Print. Page 402
- ↑ ক খ Hogan, Michael J. The Marshall Plan: America, Britain, and the Reconstruction of Western Europe, 1947–1952. Cambridge: Cambridge University Press, 1987.
- ↑ Brad Roberts, ed. (১৯৯০)। The New Democracies: Global Change and U.S. Policy। MIT Press। পৃষ্ঠা 97।
- ↑ http://www.oecd.org/general/themarshallplanspeechatharvarduniversity5june1947.htm
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ Geoffrey Roberts (ডিসেম্বর ২০০০)। "Historians and the Cold War"। History Today। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-১৫।
- ↑ Robert J. McMahon (২০০৩-০৩-২৭)। The Cold War। Very Short Introductions। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 30।
- ↑ Volkogonov, Dmitri. Stalin: Triumph and Tragedy. Forum, 1996, p.531.
- ↑ Milward, Alan S. The Reconstruction of Western Europe 1945-51 (Berkeley: University of California Press, 2006)
- ↑ Mills, Nicolaus (২০০৮)। Winning the peace: the Marshall Plan and America's coming of age as a superpower। Wiley। পৃষ্ঠা 195। আইএসবিএন 978-0-470-09755-7।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- George C. Marshall Foundation
- The German Marshall Fund of the United States
- The Marshal Plan documents collection at MCE ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে
- Marshall Plan from the National Archives
- Excerpts from book by Allen W. Dulles
- United States Secretary of State James F. Byrnes famous Stuttgart speech, September 6, 1946 The speech marked the turning point away from the Morgenthau Plan philosophy of economic dismantlement of Germany and towards a policy of economic reconstruction.
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |