থাইল্যান্ড উপসাগর

থাইল্যান্ড উপসাগর (সিয়াম উপসাগর হিসেবেও পরিচিত) হলো দক্ষিণ চীন সাগরের পশ্চিম অংশেরর একটি অগভীর খাঁড়ি[][]পশ্চিমা প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ক্ষুদ্র অংশ। উপসাগরটি প্রায় ৮০০ কিলোমিটার (৪২৭ মাইল) দীর্ঘ এবং ৫৬০ কিমি (৩৪৮ মাইল) পর্যন্ত চওড়া, এর আয়তন ৩,২০,০০০ বর্গকিমি (১,২৩,৫৫৩ বর্গ মাইল)। এর উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে থাইল্যান্ড এবং উত্তর-পূর্বে কম্বোডিয়াভিয়েতনাম অবস্থিত। উসগারটির দক্ষিণ-পূর্বে দক্ষিণ চীন সাগর অবস্থিত।[][]

থাইল্যান্ড উপসাগর
সিয়াম উপসাগর
উপসাগরের অবস্থান
অবস্থানদক্ষিণ পূর্ব এশিয়া
স্থানাঙ্ক০৯°৩০′ উত্তর ১০২°০০′ পূর্ব / ৯.৫০০° উত্তর ১০২.০০০° পূর্ব / 9.500; 102.000
ধরনউপসাগর
প্রাথমিক অন্তর্প্রবাহদক্ষিণ চীন সাগর
পৃষ্ঠতল অঞ্চল৩,২০,০০০ কিমি (১,২০,০০০ মা)
গড় গভীরতা৫৮ মি (১৯০ ফু)
সর্বাধিক গভীরতা৮৫ মি (২৭৯ ফু)
 
মানচিত্রটি উপসাগরের অবস্থান দেখাচ্ছে।

থাইল্যান্ড উপসাগর কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম সীমান্তে অবস্থিত।[][] এটি ৬° থেকে ১৩°৩০' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯৯° থেকে ১০৪ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত ৩,০৪,০০০ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রের এলাকা নিয়ে গঠিত।[]:২৫০ উপসাগরটির উত্তরের অংশে রয়েছে ব্যাংকক উপসাগরচাও ফ্রায়া নদীর মোহনা। উপসাগরের দক্ষিণ সীমান্তটি দক্ষিণাঞ্চলীয় ভিয়েতনামের কেপ বাই বাং (মেকং নদীর মোহনার দক্ষিণ) থেকে মালয়েশিয়ার উপকূলে অবস্থিত কোটা ভারু শহরের পর্যন্ত একটি রেখা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়।

উপসাগরটি তুলনামূলকভাবে অগভীর: এর গড় গভীরতা ৫৮ মিটার (১৯০ ফুট) এবং সর্বোচ্চ গভীরতা মাত্র ৮৫ মিটার (২৭৯ ফুট)।[]:২৫০ এটি জলের বিনিময়কে ধীর করে তোলে এবং নদী থেকে শক্তিশালী জল প্রবাহ উপসাগরের জলের লবণাক্ততা (৩.০৫-৩.২৫ শতাংশ) হ্রাস করে এবং পলির অবক্ষেপ বৃদ্ধি করে।

সমুদ্রতলের ভূপ্রকৃতি

সম্পাদনা

উপসাগরটির সমুদ্রতলদেশে দীর্ঘায়ত ঢিবি এবং ঢালের অববাহিকার অক্ষের সমান্তরাল শৈলশ্রেণী উপস্থিতিতে লক্ষ্য করা যায়। ৫০ মিটারেরও বেশি জলের গভীরে উপসাগরের মধ্যে বিস্তৃত এই ভূমিরূপটি হাজার হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।

ভ্রমণব্যবস্থা

সম্পাদনা
 
এডেন তিমি উপসাগরীয় অঞ্চলে খাবার সংগ্রহ করছে।
 
ব্যাং টপুনে এডেন তিমি।

উপসাগরের প্রবাল প্রাচীরগুলো ডাইভার্সদের আকর্ষণ করে। জলের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উষ্ণতা অনেক পর্যটকদের আকর্ষণ করে। থাইল্যান্ড উপসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটক গন্তব্যগুলির মধ্যে রয়েছে সুরাত থানি প্রদেশের কো সামুয়ি এবং কো ফা নগান দ্বীপ, চনবুরি প্রদেশের পাট্টায়, ফেতচাবুরি প্রদেশের চা-এম, প্রাচুয়াপ খিরি খান প্রদেশের হু হিন এবং রায়ং প্রদেশের কো সামেট।

আঞ্চলিক বিরোধ

সম্পাদনা

মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামের মধ্যে থাইল্যান্ড উপসাগরের বেশ কিছু অঞ্চল নিয়ে বিরোধ রয়েছে। মালয়েশিয়ার ও থাইল্যান্ড যৌথভাবে বিতর্কিত অঞ্চলগুলোর উন্নয়ন ঘটাতে সম্মত, যার মধ্যে কো ক্র এবং কো লসিন দ্বীপ রয়েছে।[] থাইল্যান্ড উপসাগরীয় অঞ্চলে কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম-এর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বিতর্ক প্রধানত কম্বোডিয়া উপকূলে অবস্থিত ফু কুইক বা কোহ ট্রাল দ্বীপকে কেন্দ্র করে।[] কম্বোডিয়া ৪৮,০০০ বর্গ কিলোমিটার (১৯,০০০ বর্গ মাইল) বালুচর এলাকা নিজের বলে দাবি করে।[১০][১১]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Marine Gazetteer browser"। Marineregions org। সংগ্রহের তারিখ জুন ৬, ২০১৬ 
  2. "Thailand, Gulf of"। Oxford University Press। আগস্ট ৪, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ৬, ২০১৬ 
  3. "Marine Gazetteer Placedetails - Gulf of Thailand"। Marineregions org। সংগ্রহের তারিখ জুন ৬, ২০১৬ 
  4. "Gulf of Thailand"। Deepseawaters.com। সংগ্রহের তারিখ জুন ৭, ২০১৬ 
  5. "Map of Gulf of Thailand, Gulf of Thailand Location Facts, Major Bodies of Water, South China Sea"World Atlas। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৮ 
  6. "Gulf of Thailand"Encyclopedia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৮ 
  7. Khongchai, Narongsak; Vibunpant, Somchai; Eiamsa-ard, Monton; Supongpan, Mala। "Preliminary Analysis of Demersal Fish Assemblages in Coastal Waters of the Gulf of Thailand" (পিডিএফ)Worldfish। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রু ২০১৫ 
  8. "Defining areas for joint development in disputed waters - Malaysia–Thailand p. 13"। University of Wollongong। আগস্ট ২২, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ৭, ২০১৬ 
  9. Prescott, J. R. V. (১৯৭৮)। Boundaries and Frontiers। Rowman and Littlefield। আইএসবিএন 978-0847660865 
  10. Paul Ganster & David E. Lorey, Borders and border politics in a globalizing world.
  11. Schofield, Clive (২০০৮)। "Maritime Claims, Conflicts and Cooperation in the Gulf of Thailand"। Ocean Yearbook Online22: 75–116। ডিওআই:10.1163/221160008x00064 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা