গোদাবরী নদী
গোদাবরী নদী হল ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী এবং এটি ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নদী অববাহিকা নিষ্কাশন করে, যা ভারতের মোট ভৌগোলিক এলাকার প্রায় ১০% স্থান জুড়ে রয়েছে।[৫] এর উৎস মহারাষ্ট্রের নাশিকের ত্রিম্বকেশ্বর থেকে।[৬] এটি ১,৪৬৫ কিলোমিটার (৯১০ মাইল) পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয় এবং মহারাষ্ট্র (৪৮.৬%), তেলঙ্গানা (১৮.৮%), অন্ধ্রপ্রদেশ (৪.৫%), ছত্তিশগড় (১০.৯%) এবং ওড়িশা (৫.৭%) রাজ্যগুলিকে নিষ্কাশন করে। নদীটি অবশেষে বঙ্গোপসাগরে একটি বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউটারি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মিশে যায়।[৭] এর ৩১২,৮১২ কিমি² (১২০,৭৭৭ বর্গ মাইল) নিষ্কাশন এলাকা উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম, যার তুলনায় শুধু গঙ্গা এবং সিন্ধু নদীর নিষ্কাশন এলাকা আরও বড়।[৮] দৈর্ঘ্য, নিষ্কাশন এলাকা এবং প্রবাহের দিক থেকে গোদাবরী হল উপদ্বীপ ভারতের সবচেয়ে বড় নদী এবং এটি "দক্ষিণ গঙ্গা" নামে পরিচিত ছিল।[৯]
| গোদাবরী নদী | |
|---|---|
 পূর্ব গোদাবরী জেলার রাজমুন্দ্রিতে গোদাবরী জুড়ে গোদাবরী সেতু | |
 দক্ষিণ ভারতীয় উপদ্বীপের মধ্য দিয়ে গোদাবরীর পথ | |
| অবস্থান | |
| দেশ | ভারত |
| রাজ্য | মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ওড়িশা |
| অঞ্চল | পশ্চিম ভারত এবং দক্ষিণ ভারত |
| প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
| উৎস | |
| • অবস্থান | ব্রহ্মগিরি পর্বত, ত্রিম্বকেশ্বর, নাসিক, মহারাষ্ট্র, ভারত |
| • স্থানাঙ্ক | ১৯°৫৫′৪৮″ উত্তর ৭৩°৩১′৩৯″ পূর্ব / ১৯.৯৩০০০° উত্তর ৭৩.৫২৭৫০° পূর্ব |
| • উচ্চতা | ৯২০ মি (৩,০২০ ফু) |
| মোহনা | বঙ্গোপসাগর |
• অবস্থান | অন্তরবেদী, কোনসিমা জেলা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত |
• স্থানাঙ্ক | ১৭°০′ উত্তর ৮১°৪৮′ পূর্ব / ১৭.০০০° উত্তর ৮১.৮০০° পূর্ব[১] |
• উচ্চতা | ০ মি (০ ফু) |
| দৈর্ঘ্য | ১,৪৬৫ কিমি (৯১০ মা) |
| অববাহিকার আকার | ৩,১২,৮১২ কিমি২ (১,২০,৭৭৭ মা২) |
| নিষ্কাশন | |
| • অবস্থান | গোদাবরী বদ্বীপ, বঙ্গোপসাগর |
| • গড় | ৩,৫০৫ মি৩/সে (১,২৩,৮০০ ঘনফুট/সে) |
| নিষ্কাশন | |
| • অবস্থান | মুখের ৮০ কিমি উজানে; বেসিনের আকার: ৩,০৮,৯৪৬ কিমি২ (১,১৯,২৮৫ মা২)[২] |
| • গড় | (Period: 1998/01/01–2023/12/31)৩,৭৪০.৫ মি৩/সে (১,৩২,০৯০ ঘনফুট/সে)[২][৩] |
| • সর্বনিম্ন | ৭৯ মি৩/সে (২,৮০০ ঘনফুট/সে)[৩] |
| • সর্বোচ্চ | ১২,০৪৫ মি৩/সে (৪,২৫,৪০০ ঘনফুট/সে)[৩] |
| নিষ্কাশন | |
| • অবস্থান | পোলাভারাম (১৯০১–১৯৭৯)[৪] |
| • গড় | ৩,০৬১.১৮ মি৩/সে (১,০৮,১০৫ ঘনফুট/সে) |
| • সর্বনিম্ন | ৭ মি৩/সে (২৫০ ঘনফুট/সে) |
| • সর্বোচ্চ | ৩৪,৬০৬ মি৩/সে (১২,২২,১০০ ঘনফুট/সে) |
| অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
| উপনদী | |
| • বামে | বঙ্গগা, কদভা, শিবনা, পূর্ণা, কদম, প্রাণহিতা, ইন্দ্রাবতী, তালিপেরু, সবরী |
| • ডানে | নাসারদি, প্রভারা, সিন্দফানা, মঞ্জিরা, মানাইর, কিন্নরসানি |
এই নদী হাজার হাজার বছর ধরে হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্রে শ্রদ্ধার সঙ্গে পুজিত হয়েছে এবং এটি একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণ ও পুষ্টি প্রদান করে চলেছে। গত কয়েক দশকে, নদীটি একাধিক ব্যারেজ এবং বাঁধ দ্বারা অবরুদ্ধ হয়েছে, যা পানির গভীরতা বজায় রাখে এবং এর ফলে বাষ্পীভবন কম হয়। নদীর বিস্তীর্ণ বদ্বীপে ৭২৯ জন/বর্গ কিলোমিটার বসবাস করে, যা ভারতীয় গড় জনঘনত্বের প্রায় দ্বিগুণ, এবং এখানে বন্যার একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি রয়েছে, যা নিম্নাঞ্চলে আরো বৃদ্ধি পেতে পারে যদি বৈশ্বিক সমুদ্র স্তর বৃদ্ধি পায়।[১০][১১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Godāvari River at GEOnet Names Server
- ↑ ক খ "River Discharge and Reservoir Storage Changes Using Satellite Microwave Radiometry"।
- ↑ ক খ গ "The Flood Observatory"।
- ↑ "Sage River Database"। ২১ জুন ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১১।
- ↑ "The Godavari River System" (পিডিএফ)। cwc.gov.in। Central Water Commission, Ministry of Jal Shakti, Department of Water Resources, River Development and Ganga Rejuvenation। ৮ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ""Godavari river basin map"" (পিডিএফ)। ১২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Integrated Hydrological DataBook (Non-Classified River Basins)" (পিডিএফ)। Central Water Commission। পৃষ্ঠা 9। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "Basins –"। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "Dakshina Ganga (Ganga of South India) – River Godavari"। Important India। ২০ জানুয়ারি ২০১৪। ১৮ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "Deltas at Risk" (পিডিএফ)। International Geosphere-Biosphere Programme। ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৯।
- ↑ South Asia Network on Dams Rivers and People (২০১৪)। "Shrinking and Sinking Deltas: Major role of Dams in delta subsidence and effective sea level rise" (পিডিএফ)। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৬।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Godavari River in 1911
- Nashik City
- Contrasting Behavior of Osmium in the Godavari River Estuary, India, 2001 [১]
- River Basin Report: Godavari River [২]
- Variations of Monsoon Rainfall in Godavari River Basin [৩][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- [৪] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে
- [৫]
- [৬]