গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র বা ডিআরসি ( ফরাসি: République démocratique du Congo; কঙ্গো : Repubilika ya Kôngo ya Dimokalasi )–যা পূর্বে জায়ার নামে পরিচিত ছিল– মধ্য আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। ভূমি এলাকা অনুসারে ডিআরসি হল আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ এবং বিশ্বের ১১ তম বৃহত্তম দেশ । প্রায় ১১২ মিলিয়ন জনসংখ্যা বসবাসকারী এই দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশগুলির একটি। জাতীয় রাজধানী ও বৃহত্তম শহর হল কিনশাসা, যা অর্থনৈতিক কেন্দ্রও বটে। দেশটি কঙ্গো প্রজাতন্ত্র , মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ সুদান, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, তানজানিয়া, বুরুন্ডি, জাম্বিয়া, অ্যাঙ্গোলা এবং দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের সীমান্তে অবস্থিত।
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র République démocratique du Congo (ফরাসি) Repubilika ya Kôngo ya Dimokalasi (কঙ্গো) Republíki ya Kongó Demokratíki (লিঙ্গালা) Jamhuri ya Kidemokrasia ya Kongo (সোয়াহিলি) Ditunga dia Kongu wa Mungalaata (Luba-Katanga) | |
---|---|
নীতিবাক্য: Justice – Paix – Travail (ফরাসি) "Justice – Peace – Work" (ইংরেজি) " সুবিচার - শান্তি - কাজ " (বাংলা) | |
জাতীয় সঙ্গীত: দেবুট কঙ্গোলাইস | |
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র-এর অবস্থান (dark green) | |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | কিনশাসাa |
সরকারি ভাষা | ফরাসি |
স্বীকৃত আঞ্চলিক ভাষা | লিঙ্গালা, কঙ্গো, সোয়াহিলি, তাশিলুবা |
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | কঙ্গোলীয় |
সরকার | Semi-Presidential প্রজাতন্ত্র |
Félix Tshisekedi | |
Jean-Michel Sama Lukonde | |
স্বাধীনতা | |
• বেলজিয়াম থেকে | ৩০শে জুন ১৯৬০ |
আয়তন | |
• মোট | ২৩,৪৫,৪০৯ কিমি২ (৯,০৫,৫৬৭ মা২) (11th) |
• পানি (%) | 3.32 |
জনসংখ্যা | |
• 2017 আনুমানিক | 82,243,000[১] (16th) |
• ঘনত্ব | ৩৪.৮৩/কিমি২ (৯০.২/বর্গমাইল) |
জিডিপি (পিপিপি) | 2017 আনুমানিক |
• মোট | $68.331 billion[২] |
• মাথাপিছু | $788[২] |
জিডিপি (মনোনীত) | 2017 আনুমানিক |
• মোট | $41.098 billion[২] |
• মাথাপিছু | $474[২] |
জিনি (2006) | 44.4[৩] মাধ্যম |
মানব উন্নয়ন সূচক (2015) | 0.435[৪] নিম্ন · 176th |
মুদ্রা | কঙ্গোলিজ ফ্রাঙ্ক (CDF) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি ১ থেকে ২ (WAT, CAT) |
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) | ইউটিসি ১ থেকে ২ (পর্যবেক্ষণ করা হয়নি) |
কলিং কোড | ২৪৩ |
ইন্টারনেট টিএলডি | .cd |
a Estimate is based on regression; other PPP figures are extrapolated from the latest International Comparison Programme benchmark estimates. |
ইতিহাস
সম্পাদনাতৎকালীন কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ১৯৬০ সালের ৩০ জুন বেলজিয়াম থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে এবং জাতীয়তাবাদী পাত্রিস লুমুম্বা প্রথম কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কঙ্গো সঙ্কটের সময় জোসেফ-ডিসিরে মোবুতু (পরবর্তীতে নিজের নাম পরিবর্তন করেছিলেন মোবুতু সেসে সেকো) আনুষ্ঠানিকভাবে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে এবং রাজনীতিগত দ্বন্দের কারণে লুমুম্বাকে গ্রেপ্তার করে লিওপোডভিল থেকে ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মা) দূরে Thysville military barracks Camp Hardy তে চালান করে দেয়। ক্যাম্প হারডির পরিচালনা ব্যাবস্থা খুবই নিম্নমানের এবং কর্মচারীরা বেতন না পাওয়ায় কাজ বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করলে ১৯৬১ সালের ১৭ জানুয়ারি বেলজিয়ান কলোনি মন্ত্রী Harold Charles d'Aspremont Lynden লুমুম্বাকে জোরপূর্বক কাতাঙ্গাতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি Tshombe এবং তার মন্ত্রীপরিষদের পরিকল্পনা অনুযায়ী লুমুম্বাকে একটি গোপন স্থানে নিয়ে মৃত্যুদন্ড দেয়।
মোবুতু ১৯৭১ সালে দেশটির নাম পরিবর্তন করে জাইর রাখে। কিন্তু মোবুতু দেশের একমাত্র জাতীয় দল হওয়ায় দেশটি একটি স্বৈরাচারী একদলীয় রাষ্ট্র হিসাবে পরিচালিত হচ্ছিলো। ফলে ১৯৯০ এর প্রথম দিকে, মোবুতুর সরকার দুর্বল হতে শুরু করে। ১৯৯৪-এ রুয়ান্ডার গণহত্যা এবং পূর্বের অস্থিতিশীলতা ১৯৯৬ সালে রুয়ান্ডার নেতৃত্বে একটি আগ্রাসনের দিকে পরিচালিত করে, যার ফলে পরের বছর প্রথম কঙ্গো যুদ্ধে মোবুতুকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
ভূগোল
সম্পাদনাঅবস্থানঃ দেশটির উত্তরে রয়েছে 'কেন্দ্রীয় আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র'(Central African Republic) এবং দক্ষিণ সুদান। এর পূর্বে রয়েছে উগান্ডা,বুরুন্ডি এবং তানজানিয়া। দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে জাম্বিয়া,দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে অ্যাঙ্গোলা। দেশটির পশ্চিমে রয়েছে সীমিত সমুদ্রসীমা।
ভৌগোলিক স্থানাঙ্কঃ ০ ডিগ্রি ০০ মিনিট উ. ২৫ ডিগ্রি ০০ মিনিট পূ.
মহাদেশঃ আফ্রিকা ক্ষেত্রফলঃ মোট: ২,৩৪৪,৮৫৮ বর্গ কিমি ভূমি: ২,২৬৭,০৪৮ বর্গ কিমি পানি: ৭৭,৮১০ বর্গ কিমি প্রাকৃতিক সম্পদঃ কোবাল্ট,তামা,পেট্রোলিয়াম,ডায়মন্ড,সোনা,রুপা,জিংক/দস্তা,টিন,ইউরেনিয়া,কয়লা,নিয়োবিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ
আবাদী জমিঃ ৩.০৯ শতাংশ
সেচসম্পন্ন ভূমিঃ ১০৫ বর্গ কিমি (২০০৩)
মোট ব্যবহারযোগ্য পানিসম্পদঃ ১২৮৩ ঘন কিমি (২০১১)
আবহাওয়া ও জলবায়ুঃ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র নিরক্ষরেখার উপর অবস্থিত। এর এক-তৃতীয়াংশ দেশের উত্তরে এবং দুই-তৃতীয়াংশ দক্ষিণে রয়েছে। নদীর অববাহিকায় জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র এবং দক্ষিণের উঁচু অঞ্চলগুলো শীতল ও শুষ্ক। রেনজুরি পাহাড়ে আল্পাইন জলবায়ু বিদ্যমান।
নিরক্ষরেখার দক্ষিণে বর্ষাকাল অক্টোবর-মে এবং উত্তরে তা এপ্রিল-নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। পুরোদেশে গড় বৃষ্টিপাত ১০৭০ মিমি (৪২ ই)।
এই অঞ্চলে সূর্যরশ্মি সরাসরি পরে এবং সমুদ্রের পানি দ্রুত বাষ্পে পরিণত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় বলে এখানকার জলবায়ু 'নিরক্ষীয় জলবায়ু' নামে পরিচিত।
মিঠাপানি উত্তোলনঃ (দেশীয়/শিল্পজাত/কৃষিজ) মোট উত্তোলন - ০.৬৮ ঘন কিমি/বছর (৬৮℅/২১℅/১১℅)
মাথাপিছু উত্তোলন- ১১.২৫ ঘন কিমি/বছর (২০০৫)
প্রাকৃতিক দুর্যোগঃ দেশটির দক্ষিণে নির্দিষ্ট সময় পর পর খরা হয়। মৌসুমি কঙ্গো নদীর বন্যা সংঘটিত হয় এবং পূর্বদিকে আলবার্টিনের ফাটলে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
পরিবেশগত বর্তমান সমস্যাঃ - শিকারী বন্যপ্রাণীরা (যেমনঃ শিকারী কুকুর/lycon pictus) বসবাসরত মানুষদের কাছে হুমকিস্বরূপ; ফলে বর্তমানে এসব প্রাণী নির্মূলিত। -পানি দূষণ -বন উজাড় (কৃষিকাজের জন্য আদিবাসীরা বন কেটে ধ্বংস করছে) -উদ্বাস্তু কর্তৃক পরিবেশ দূষণ -খনিজগুলো খননও পরিবেশগত ক্ষতির কারণ।
পরিবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহঃ জীববৈচিত্র্য,মরুভূমি,বিপন্ন প্রজাতি,হানিকর বর্জ্য,সামুদ্রিক আইন,সমুদ্র দিয়ে পাচার নিষিদ্ধকরণ,পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ,ওজোন স্তর সুরক্ষা,ক্রান্তীয় কাঠ ৮৩,ক্রান্তীয় কাঠ ৯৪,জলাভূমি সংরক্ষণ ইত্যাদি স্বাক্ষরিত। কিন্তু পরিবেশগত পরিবর্তন চুক্তিটি এখনও অনুমোদিত নয়।
প্রান্তবিন্দুসমূহঃ (extreme points) প্রান্তবিন্দু হলো এমন স্থানসমূহ যা অন্যান্য সব স্থান থেকে সবচেয়ে উত্তর,দক্ষিণ,পূর্ব,পশ্চিমে অবস্থিত।
উত্তরতম বিন্দুঃ ওরিয়েন্টাল অঞ্চলের 'কেন্দ্রীয় আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের' এমবাগা শহরের পশ্চিমে বোমু নদীর মধ্যে অবস্থিত একটি নামহীন স্থান।
পূর্বতম বিন্দুঃ স্থানটি উগান্ডার সীমান্তে ওরিয়েন্টাল প্রদেশের মহাগি বন্দরের পশ্চিমে অ্যালবার্ট হ্রদের প্রবেশ অংশে অবস্থিত।
দক্ষিণতম বিন্দুঃ স্থানটি জাম্বিয়ার সীমান্তে কাটাঙ্গা প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।
পশ্চিমতম বিন্দুঃ স্থানটি আটলান্টিক মহাসাগরে ক্যাবিন্ডার সীমান্তে 'বাস-কঙ্গো' প্রদেশে অবস্থিত।
সামরিক বাহিনী
সম্পাদনাগণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর সামরিক বাহিনীর নাম ফরাসিতে Forces Armées de la République Démocratique du Congo (FARDC) ফর্স আর্মে দ্য লা রেপ্যুব্লিক দেমোক্রাতিক দ্যু কঙ্গো। ২০০৩ সালের জুলাই মাসে দ্বিতীয় কঙ্গো যুদ্ধের অবসানের পর এটিকে শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
সামরিক বাহিনীর বেশির ভাগ সেনাই স্থল সেনাবাহিনীর সদস্য। তবে একটি ক্ষুদ্র বিমান বাহিনী এবং ক্ষুদ্রতর নৌবাহিনীও বিদ্যমান। সব মিলিয়ে এই তিন বাহিনীতে সদস্যসংখ্যা প্রায় ১,৩০,০০০। এছাড়া রিপাবলিকান গার্ড নামের একটি রাষ্ট্রপতি প্রতিরক্ষা বাহিনী আছে।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Democratic Republic of the Congo IMF population estimates
- ↑ ক খ গ ঘ "Democratic Republic of the Congo"। international monetary fund।
- ↑ "GINI index"। World Bank। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "2016 Human Development Report" (পিডিএফ)। United Nations Development Programme। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাসরকার
- রাষ্ট্র প্রধান এবং মন্ত্রিপরিষদ সদসবৃন্দ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ মে ২০০৯ তারিখে
- সাধারণ তথ্য
- Country Profile from the BBC News
- সিআইএ প্রণীত দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক-এ কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র-এর ভুক্তি
- কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র from UCB Libraries GovPubs
- কার্লিতে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (ইংরেজি)
- উইকিমিডিয়া অ্যাটলাসে কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র
- কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র at WorldWikia
- Crisis briefing on Congo[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] from Reuters AlertNet
- সংঘাতের খবর প্রতিবেদন প্রচার
- BBC DR Congo: Key facts
- BBC Q&A: DR Congo conflict
- BBC Timeline: কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র
- BBC In pictures: Congo crisis
- "Rape of a Nation" by Marcus Bleasdale on MediaStorm
- Maps of Congo before and after independence
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |