খন্দকার আবদুর রশিদ
খন্দকার আবদুর রশিদ একজন বাংলাদেশী সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অক্টোবর ১৯৭১ এ ছুটি নিয়ে ভারতে যান এবং নভেম্বর ১৯৭১ থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন।
খন্দকার আবদুর রশিদ | |
---|---|
কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ – ১২ জুন ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | রেদোয়ান আহমেদ |
উত্তরসূরী | আলী আশরাফ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | খন্দকার আবদুর রশিদ রেন্টু ৬ ডিসেম্বর ১৯৪৬ ত্রিপুরা জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে ছয়গড়িয়া গ্রাম, চান্দিনা উপজেলা, কুমিল্লা জেলা, বাংলাদেশ) |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি |
পিতামাতা | আবদুল করিম খন্দকার |
সামরিক পরিষেবা | |
ডাকনাম | রেন্টু |
আনুগত্য | বাংলাদেশ |
শাখা | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনী |
পদ | লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) |
জীবন বৃত্তান্ত
সম্পাদনাখন্দকার আবদুর রশিদ ১৯৪৬ সালে জড়িতলা জেলার চান্দিনার ছয়গড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবদুল করিম খন্দকার। তার বড় মেয়ে মেহনাজ রশিদ ফ্রিডম পার্টির নেতা। আরেক মেয়ে শেহনাজ রশিদ খান।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অক্টোবর ১৯৭১ এ ছুটি নিয়ে ভারতে যান এবং নভেম্বর ১৯৭১ থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
তিনি সৈয়দ ফারুক রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি গঠন করেন। তিনি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন।[১]
হত্যার দায়
সম্পাদনা১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবের পতন ও হত্যার সময় তিনি একজন প্রধান অংশগ্রহণকারী ছিলেন।[২] তিনি পুরো সময় তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন। ষড়যন্ত্রকারীরা ঢাকা সেনানিবাসে তার বাসভবনে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন।[৩] হত্যার পর তিনি মেজর থেকে লেফটেন্যান্ট কর্নেলে পদোন্নত হন। তিনি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে ঢাকায় ফিরে আসেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
শাস্তি
সম্পাদনাশেখ মুজিবের হত্যার দায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার মার্কিন সরকারের সাথে কথা বলে তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে।[৪] ২০১৬ সালে শেখ মুজিবের হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তার সম্পত্তিগুলি জব্দ করার অনুমতি দিয়ে বাংলাদেশ সরকার একটি আইন পাশ করে। কুষ্টিয়াভিত্তিক জুবিলী ব্যাংক রশীদের শেয়ার বাংলাদেশ ব্যাংক জব্দ করার আদেশ দেয়।[৫] তার মেয়ে মেহনাজ রশিদ ফ্রিডম পার্টির বর্তমান নেত্রী এবং ২০০৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Where are they?"। thedailystar.net। দ্য ডেইলি স্টার। ১৯ নভেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "The conspiracy behind the assassination of Bangabandhu"। thedailystar.net। দ্য ডেইলি স্টার। ১৫ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Shame darker than the night"। thedailystar.net। দ্য ডেইলি স্টার। ১৫ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Four could not even be traced"। thedailystar.net। দ্য ডেইলি স্টার। ১৪ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "BB asked to confiscate bank shares of Bangabandhu killers"। ঢাকা ট্রিবিউন। ঢাকা ট্রিবিউন। ৩ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Col Rashid's daughter held for blast link"। thedailystar.net। দ্য ডেইলি স্টার। ২৪ অক্টোবর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।