কুষাণ সাম্রাজ্য
কুষাণ সাম্রাজ্য ছিল প্রথম খ্রিষ্টীয় শতাব্দীতে মধ্য এশিয়ার ব্যাক্ট্রিয়া ও স্কাইথিয়া অঞ্চলে গড়ে ওঠা একটি মিশ্র চীনা-ব্যাক্ট্রীয় সাম্রাজ্য। ব্যাক্ট্রিয়া (আজকের আফগানিস্তান) অঞ্চলে গড়ে ওঠা এ সাম্রাজ্যটি পার্শ্ববর্তী শিনচিয়াং, পার্থিয়া, পাঞ্জাব, সিন্ধু এবং বেনারস পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। সম্রাট কুজুল কদফিসেস ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা।
কুষাণ সাম্রাজ্য | |||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
৩০–৩৭৫ | |||||||||||||||
কণিষ্কের রাজত্বকালে কুষাণ সাম্রাজ্যের বিস্তার | |||||||||||||||
রাজধানী | কপিশা পুরুষপুর তক্ষশিলা মথুরা | ||||||||||||||
প্রচলিত ভাষা | গ্রিক(১২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্য্যন্ত) ব্যাক্ট্রিয় (১২৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে) | ||||||||||||||
ধর্ম | বৌদ্ধ ধর্ম হিন্দু ধর্ম[১] Shamanism জরাথ্রুস্টবাদ Manichaeism various Bactrian-Indian religions | ||||||||||||||
সরকার | রাজতন্ত্র | ||||||||||||||
সম্রাট | |||||||||||||||
• ৩০–৮০ | কুজুল কদফিসেস | ||||||||||||||
ঐতিহাসিক যুগ | প্রাচীন ইতিহাস | ||||||||||||||
• কুজুল কদফিসেস দ্বারা পাঁচটি ইউয়েঝি গোষ্ঠীকে একত্র করে রাজ্য প্রতিষ্ঠা | ৩০ | ||||||||||||||
৩৭৫ | |||||||||||||||
আয়তন | |||||||||||||||
৩৮,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (১৫,০০,০০০ বর্গমাইল) | |||||||||||||||
মুদ্রা | কুষাণ দ্রাখ্মা | ||||||||||||||
| |||||||||||||||
বর্তমানে যার অংশ | Afghanistan China Kyrgyzstan India Nepal Pakistan Tajikistan Uzbekistan Turkmenistan |
খ্রিষ্টপূর্ব ২য় শতাব্দীর প্রথমার্ধে শুংনু (চৈনিক: 匈奴, ফিনিন: Xiōngnú শুংনু) নামে এক উপজাতি তাদের প্রতিবেশী ইউয়েচি (চৈনিক: 月支, ফিনিন: Yuèzhī উ্যয়েট্ষ্র্) নামে অপর এক উপজাতিকে হারিয়ে দেয়। দীর্ঘ সংঘর্ষের পর য়ুঝি উপজাতির লোকেরা পশ্চিমদিকে সরে যেতে বাধ্য হয়। তারা পশ্চিমদিকে সরে ইলি নদীর উপত্যকা পেরিয়ে ইস্সিক কুল হ্রদের (ইংরেজি: Lake Issyk Kul) দক্ষিণ তীর ধরে এগোতে থাকে। তাদের এই স্থান পরিবর্তন শকসহ বেশ কিছু উপজাতিকে তাদের সামনে এগোতে বাধ্য করে। ১৪৫-১২৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী কোন সময়ে তারা ব্যাকট্রিয় ও পার্থিয়ায় বসতি স্থাপন করে। এক প্রজন্ম পর তারা সেই জায়গা ত্যাগ করে কাবুল উপত্যকা পেরিয়ে পাঞ্জাব সমভূমিতে প্রবেশ করে। খ্রিষ্টাব্দ শুরুর দিকে য়ুঝি উপজাতির নেতা কিউ-সিউ-কিও (ইংরেজি: K'iu-tsiu-k'io) বাকী চার নেতাকে মেরে সমগ্র উপজাতির প্রধান হয়ে বসে। তার নাম থেকেই নাম হয় কুএই-শাং (ইংরেজি: Kuei-shang) বা কুষাণ। রাজা কণিষ্কের অধীনে এই সাম্রাজ্য বিশাল আকৃতি লাভ করে।
এ সাম্রাজ্য ইউরোপের রোমান সাম্রাজ্য, চীনের হান রাজবংশ ও পূর্ব আফ্রিকার আক্সুমিত সাম্রাজ্যের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল ।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ André Wink, Al-Hind, the Making of the Indo-Islamic World: The Slavic Kings and the Islamic conquest, 11th-13th centuries, (Oxford University Press, 1997), 57.
- ↑ "Afghanistan: Central Asian and Sassanian Rule, ca. 150 B.C.-700 A.D."। United States: Library of Congress Country Studies। ১৯৯৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৮-১৬।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |