ইসলামের সমালোচনা
ইসলামের সমালোচনা (ইংরেজি: Criticism of Islam) শুরু হয়েছে এই ধর্মের আবির্ভাবের সময়কাল (সপ্তম শতাব্দী) থেকেই। প্রাথমিকভাবে লিখিত সমালোচনা খ্রিস্টানদের কাছ থেকে এসেছিলো, নবম শতকের আগে, অনেকেই ইসলামকে একটি "উগ্র-উৎপথ" (যে কোনো ধর্ম বিষয়ে প্রচলিত মতের বিরুদ্ধ বিশ্বাস) বলে মনে করেছিলেন।[১] পরে মুসলিম বিশ্ব নিজেই এর সমালোচনা ভোগ করেছিলো।[২][৩][৪]
পশ্চিমা সমাজে ইসলাম ধর্মটির সমালোচনা পুনরায় জেগে ওঠে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পরে এবং একবিংশ শতাব্দীর অন্যান্য উগ্র-ইসলামী হামলার কারণে (অন্যান্য দেশগুলোতে)।[৫]
এই ধর্মটির সমালোচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে মোহাম্মাদের জীবনের নৈতিকতা, ইসলাম অনুযায়ী শেষ নবি, তার বাইরের এবং ব্যক্তিগত জীবন দুটোই।[৪][৬] এছাড়া কুরআন যেটি ইসলাম অনুযায়ী ঐশ্বরিক বাণী এটির প্রকৃততা এবং নৈতিকতাও উঠে আসে সমালোচনায়।[৭]
আফ্রিকা এবং ভারতের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে মুসলমানেরা ঐ অঞ্চলের নিজস্ব সংস্কৃতি ধ্বংস করেছে তাদের ধর্ম প্রচার এবং প্রসারের মাধ্যমে।
অন্যান্য সমালোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইসলাম এবং ইসলামবাদী রাষ্ট্রগুলোর দৃষ্টিতে মানবাধিকার যেমন- নারীদের স্বাধীনতা, প্রেম এবং যৌন-স্বাধীনতা, ধর্ম সমালোচনা বা ত্যাগের অধিকার এবং রাষ্ট্রে বসবাসরত অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর মানুষদের অধিকার প্রদানে ইসলামের ভূমিকা।[৮][৯] সাম্প্রতিক যুগ্মসংস্কৃতি নীতির ধারা শুরু হওয়ায় মুসলমানেরা বিভিন্ন দেশে যেতে পারে বিধায় এই নীতিরও তীব্র সমালোচনা করা হয়।[১০][১১][১২][১৩][১৪][১৫]
ইতিহাস
সম্পাদনাইসলামের শুরু দিকে
সম্পাদনাসবচেয়ে আগের লব্ধ সমালোচনা পাওয়া যায় খ্রিষ্টানদের লেখায় যারা ইসলামের প্রথমদিককার খলিফাদের শাসনাধীন হয়ে পড়েছিলেন। এমনি একজন খ্রিষ্টান ব্যক্তি ছিলেন সিরিয়ার জন অফ দামাস্কাস (জীবনকালঃ ৬৭৬ - ৭৪৯ সাল), এই জন অব দামাস্কাস ইসলাম এবং আরবি ভাষা সম্পর্কে খুব ভালো জানতেন। তার লেখা বই দ্যা ফাউন্ট অব উইসডোম এর দ্বিতীয় অধ্যায় 'কনসার্নিং হেরেসিস' এ তিনি খ্রিষ্টান এবং মুসলমানদের মধ্যে পর্বাকারে বর্ণনা দেন। জন দাবী করেন একজন আরিয়ান (খ্রিষ্টান ধর্মগুরু আরিয়াসের অনুসারী) সন্ন্যাস (উল্লেখ্য, তিনি তাকে বুহিরা বলেননি) মোহাম্মদকে প্রভাবিত করে এবং ইসলামী মতবাদগুলি (যেমন কুরআন ও হাদিস) বাইবেল থেকে নকল করে লিখা হয়েছে।[১৬] জন ইসলামের আব্রাহামীয় পূর্বপুরুষতার দাবী নিয়ে লিখতে গিয়ে বলেন এবং ব্যাখ্যা দেন যে, আরবদেরকে নাকি একসময় 'সারাসিন' বলা হত কারণ তারা নাকি 'সারাহ' (হিব্রু বাইবেল অনুযায়ী আব্রাহামের সৎ বোন এবং স্ত্রী) শূন্য ছিলো। তাদেরকে নাকি 'হাগারেন্স' বলা হত কারণ তারা নাকি দাসী মেয়ে 'হাগার' (বুক অব জেনেসিস অনুযায়ী আব্রাহামের পত্নীর ব্যক্তিগত ভৃত্য যাকে আব্রাহামের বাচ্চা প্রসবের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং সে আব্রাহামের পুত্র ইসমাইলকে জন্ম দেয়) এর বংশধর ছিলো।[১৭]
অন্যান্য পূর্ব ইসলাম সমালোচক (গুরুত্বপূর্ণ) হলেনঃ
- আবু ঈসা আল-ওয়ারাক, নবম শতকের একজন পণ্ডিত এবং ইসলামের সমালোচক।[১৮]:২২৪
- ইবনে আল-রাওয়ান্দি, নবম শতাব্দীর একজন নাস্তিক ছিলেন, যিনি ইসলাম ত্যাগ করেছিলেন এবং ধর্মটিকে সমালোচনাও করেছিলেন সাধারণভাবে।[১৮]
- আল-মারি, ১১ শতকের আরবীয় কবি এবং ইসলামের সমালোচক, এছাড়া ইনি অন্যান্য ধর্মেরও সমালোচনা করেছিলেন। ইনি মাংসাশীপ্রাণী ভক্ষণবিরোধী এবং প্রথাবিরোধী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।[১৯][২০]
মধ্যযুগ
সম্পাদনামধ্যযুগে ইসলামী রাষ্ট্রসমূহ
সম্পাদনাইসলামী খেলাফতের প্রারম্ভিক শতকগুলোতে ইসলামী আইন তাদের অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদেরকে স্বাধীনভাবে তাদের মত প্রকাশ করতে দিত, এর মধ্যে ছিলো ইসলাম এবং ধর্মীয় কর্তৃত্বের সমালোচনা করার অধিকার এবং নির্ভয়ে এসব করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো কোনো সাজা দেওয়া হবেনা এরূপ শর্তে।[২১][২২][২৩] এর কারণে ইসলামী সমাজ থেকেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমালোচক এবং ধর্মত্যাগী মানুষ বের হয়ে আসে। দশম এবং এগারো শতাব্দীতে সিরিয়াতে আল-মারি নামে এক অন্ধ কবি বাস করতেন। তিনি তার একটি কবিতার জন্য সুপরিচিত হয়ে ওঠেন যেটি "পরিব্যাপ্ত দুখঃবাদ" দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলো।
ইসলামি গ্রন্থসমূহের নির্ভরযোগ্যতা
সম্পাদনাকুরআন
সম্পাদনাহাদিস
সম্পাদনামুহাম্মাদের সমালোচনা
সম্পাদনাইসলাম ও জঙ্গিবাদ
সম্পাদনাইসলামে নারী
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ De Haeresibus by John of Damascus. See Migne. Patrologia Graeca, vol. 94, 1864, cols 763–73. An English translation by the Reverend John W Voorhis appeared in The Moslem World for October 1954, pp. 392–98.
- ↑ Warraq, Ibn (২০০৩)। Leaving Islam: Apostates Speak Out। Prometheus Books। পৃষ্ঠা 67। আইএসবিএন 1-59102-068-9।
- ↑ Ibn Kammuna, Examination of the Three Faiths, trans. Moshe Perlmann (Berkeley and Los Angeles, 1971), pp. 148–49
- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Oussani
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Akyol, Mustafa (১৩ জানুয়ারি ২০১৫)। "Islam's Problem With Blasphemy"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Ibn Warraq, The Quest for Historical Muhammad (Amherst, Mass.:Prometheus, 2000), 103.
- ↑ Bible in Mohammedian Literature., by Kaufmann Kohler Duncan B. McDonald, Jewish Encyclopedia. Retrieved April 22, 2006.
- ↑ "Saudi Arabia"। ৯ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Timothy Garton Ash (২০০৬-১০-০৫)। "Islam in Europe"। The New York Review of Books।
- ↑ Tariq Modood (২০০৬-০৪-০৬)। Multiculturalism, Muslims and Citizenship: A European Approach (1st সংস্করণ)। Routledge। পৃষ্ঠা 29। আইএসবিএন 978-0-415-35515-5।
- ↑ "Indian Nepalis: Issues and Perspectives", pp. 355–56, Tanka Bahadur Subba, Concept Publishing Company, 2009, 9788180694462
- ↑ "India's 'Mexican' Problem: Illegal Immigration from Bangladesh"। Ibtimes। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
Ghosh claimed Muslim immigrants in India are now attacking Hindus and forcibly seeking to convert Hindu girls to Islam. He has demanded that the Indian government halt illegal immigration from Bangladesh and deport undocumented Muslims back to Bangladesh.
- ↑ "Illegal immigration from Bangladesh has turned Assam explosive"। Niticentral। ২০১২-১০-৩১। ২০১৩-১২-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৭।
- ↑ "Tatarstan: The Battle over Islam in Russia's Heartland"। ২০১৩। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Russia and Islam: State, Society and Radicalism। Taylor & Francis। ২০১০। পৃষ্ঠা 94। by Roland Dannreuther, Luke March
- ↑ Critique of Islam St. John of Damascus
- ↑ John McManners, The Oxford History of Christianity, Oxford University Press, p. 185
- ↑ ক খ Hecht, Jennifer Michael (২০০৩)। Doubt: A History: The Great Doubters and Their Legacy of Innovation from Socrates and Jesus to Thomas Jefferson and Emily Dickinson। Harper San Francisco। আইএসবিএন 0-06-009795-7।
- ↑ Reynold Alleyne Nicholson, 1962, A Literary History of the Arabs, p. 319. Routledge
- ↑ "Abu-L-Ala al-Maarri Facts"। biography.yourdictionary.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-১৩।
- ↑ Boisard, Marcel A. (জুলাই ১৯৮০)। "On the Probable Influence of Islam on Western Public and International Law"। International Journal of Middle East Studies। 11 (4): 429–50। ডিওআই:10.1017/s0020743800054805।
- ↑ "Nahjul Balagha Part 1, The Sermons"। Al-Islam.org।
- ↑ Ronald Bontekoe, Mariėtta Tigranovna Stepaniants (১৯৯৭)। Justice and Democracy। University of Hawaii Press। পৃষ্ঠা 251। আইএসবিএন 0-8248-1926-8।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |