ইয়াউক
কুরআন অনুসারে, ইয়াকুক (আরবি: يعوق) ছিলেন নূহের সময়ে পূজিত একটি মূর্তি। দক্ষিণ আরবীয় একটি শিলালিপিতে ইয়াকুক নামে রহমানানকে উৎসর্গ করা একটি উপাসনালয়ের উল্লেখ আছে "মকরবন ইয়াকুক" হিসেবে।[১]
এবং তারা বলেঃ তোমরা নিজেদের উপাস্যদের ত্যাগ করো না; এবং ওয়াদ্দকে ত্যাগ করো না, সুওয়া'কেও না, ইয়াগুস, ইয়াকুক এবং নাসরকেও না। (কুরআন ৭১:২৩)
মাওলানা মুহাম্মদ আলী এই আয়াতের উপরে নিম্নলিখিত ভাষ্য যোগ করেন:
এখানে যে মূর্তিগুলির নাম দেওয়া হয়েছে সেগুলো হল সেগুলোই যেগুলো আরবে নবীজির সময়ে অস্তিত্বশীল ছিল। তাই কিছু সমালোচক এটাকে যুগ-অসঙ্গতি (anachronism) হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। [...] ইবনে আব্বাসের (ইʿআব) মতে, নূহের জাতির যে মূর্তিগুলো ছিল সেগুলোই পরবর্তীতে আরবরা পূজা করত। কালব গোত্র ওয়াদ্দকে, হুজাইল গোত্র সুওয়া'কে, মুরাদ গোত্র ইয়াগুসকে, হামাদান গোত্র ইয়াকুককে এবং হিমইয়ার গোত্র নাসরকে পূজা করত (বি. ৬৫: lxxi, ১)। ভাষ্যকাররা বলেন যে, ওয়াদ্দকে মানুষের রূপে পূজা করা হতো, সুওয়া'কে নারীর রূপে, ইয়াগুসকে সিংহের রূপে, ইয়াকুককে ঘোড়ার রূপে, এবং নাসরকে ঈগলের রূপে পূজা করা হতো (রজ)।[২]
- ↑ "DASI: Digital Archive for the Study of pre-islamic arabian Inscriptions: Epigraph details"। dasi.cnr.it। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৯।
- ↑ Maulana Muhammad Ali. The Holy Qur'an, with English Translation and Commentary; 2002 edition (আইএসবিএন ০-৯১৩৩২১-০১-X). The quoted text appears in Ali's footnote on 71:23a (page 1138).