বিষয়বস্তুতে চলুন

যায়েদ ইবনে আরকাম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
যায়েদ ইবনে আরকাম
সাহাবায়ে রাসূল
জন্মমক্কা, আরব উপদ্বীপ
মৃত্যু৬৮হিজরি
কুফা
ধর্মইসলাম
পেশাসাহাবা

যায়েদ ইবনে আরকাম নবী মুহাম্মদ এর একজন প্রসিদ্ধ সাহাবী ছিলেন।

নাম এবং বংশ

[সম্পাদনা]

নাম: যায়েদ। উপনাম: আবু ওমর। তিনি খাজরাজ উপজাতির অন্তর্ভুক্ত। বংশধারা: যায়েদ ইবনে আরকাম ইবনে যায়েদ ইবনে কায়েস ইবনে নুমান ইবনে মালিক আগার ইবনে সা’লাবা ইবনে কা’ব ইবনে খাজরাজ ইবনে হারিস ইবনে খাজরাজ আকবার।

তিনি মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন।

লালনপালন

[সম্পাদনা]

বাল্যকালেই তার পিতা ইনতেকাল করেন। আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা যিনি বড় একজন সাহাবী ছিলেন এবং সম্পর্কে ছিলেন তার চাচা। তিনিই যায়েদ ইবনে আরকামকে যত্ন নেন এবং লালন-পালন করেন। []

ইসলাম

[সম্পাদনা]

আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা আকাবাতে আনুগত্যের শপথ করেছিলেন। যা যায়েদেরও ইসলাম গ্রহণ করার কারণ ছিল।

নবীর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ

[সম্পাদনা]

উহুদের যুদ্ধে তিনি ছিলেন নাবালক বা অপ্রাপ্তবয়স্ক। তিনি উহুদ যুদ্ধে যেতে পারেনি নি। খন্দকের যুদ্ধে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। সমস্ত যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সহিহ বুখারীতে তাঁর থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (সা.) ১৯ টি যুদ্ধ করেছিলেন যার মধ্যে তিনি ১৭টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ছিলেন।[] তিনি সিফফিনের যুদ্ধে আলী ইবনে আবী তালিবকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি কুফায় বসবাস করতেন। তিনি মুতার যুদ্ধে চাচা আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহার সাথে একই উটে করে গিয়েছিলেন। কয়েকটি কবিতা আবৃত্তি করলেন যাতে শাহাদাত কামনা করছিলেন। যায়েদ কবিতা শোনার পর কাঁদতে শুরু করলেন। ইবনে রাওয়াহা আওয়াজ তুলে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সমস্যা কি? তিনি বললেন- আমার শহীদ নসীব হবে।

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

তিনি মুখতার বিন আবী উবাইদ সাকাফির আমলে ৬৮হিজরিতে কুফায় মৃত্যুবরণ করেন।

গুণাবলী

[সম্পাদনা]

তার থেকে ৭০টি হাদিস বর্ণিত হয়েছে।ইমাম বুখারী ৬টি এবং ইমাম মুসলিম ১০টি হাদিস তার থেকে বর্ণনা করেন।

জ্ঞান এবং অনুগ্রহে তার পদমর্যাদা খুব বেশি ছিল। উচ্চপদস্থ সাহাবারাও অনেক বিষয়ে তার সাথে পরামর্শ করতেন। নবুওয়াতের শুরুর দিকে তার বাড়ি ছিল ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। ওমর ফারুক(রা.)তার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। []

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "زيد بن أرقم"ويكيبيديا (আরবি ভাষায়)। ২০২০-০৪-২৬। 
  2. "Zayd ibn Arqam"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৪-০১। 
  3. مکمل اسلامی انسائیکلوپیڈیا،مصنف:مرحوم سید قاسم محمود،ص- 918